• ঢাকা শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শনিবার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো একটি শোক বার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।  শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বদরুদ্দোজা চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।  তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বিবৃতিতে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় গত ২ অক্টোবর সকালে বি চৌধুরীকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন বি চৌধুরীর মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী জানান যে, তার বাবা আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজেস ভুগছিলেন। ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে জন্মগ্রহণ করেন চিকিৎসক ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ বদরুদ্দোজা চৌধুরী। আরটিভি/এআর/এসএ  
২ ঘণ্টা আগে

১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট খোলা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি
শোক দিবসের ছুটি বাতিল হওয়ায় ১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ খোলা থাকবে।  বুধবার (১৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর আগে, ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের বৈঠকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে ছুটি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এদিকে, ১৫ আগস্ট ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এক নির্দেশনায় বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৩ আগস্ট এক আদেশের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ছুটি বাতিল করেছে। এ কারণে এদিন সব তফসিলি ব্যাংক স্বাভাবিক নিয়মে খোলা থাকবে। এ ছাড়া ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ১৫ আগস্ট স্বাভাবিক নিয়মে অফিস খোলা ও কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।
১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১০

১৫ আগস্ট বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে প্রতিহতের ঘোষণা সারজিসের
শোক দিবসের নামে ১৫ আগস্ট বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। বুধবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যে তিনি এ কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে ১৫ আগস্ট আমরা মাঠে থাকবো। পাল্টা গণ-অভ্যুত্থানের চেষ্টা করলে কেউ গায়েবানা জানাজা পড়ার লোকও খুঁজে পাবে না। তিনি আরও বলেন, যতদিন পর্যন্ত জনগণের নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা না যায়, ততদিন আমরা রাজপথে থাকবো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের মতো অনেকেই আমাদের চারপাশে লুকিয়ে রয়েছেন। তাদের প্রতিহত করতে হবে। সারজিস আলম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো দলের বা জাতের ছিল না, এটি ছিল সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনতার। ছাত্রজনতার বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনও একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৮:১৬

১৫ আগস্ট শোক পালন না করার সিদ্ধান্ত ৩৪ ছাত্র সংগঠনের
১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৩৪টি ছাত্র সংগঠন। তাদের দাবি ১৫ আগস্টকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে ডাকা এক সভায় ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। তবে এই সভায় ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও জাতীয়পার্টির ছাত্রসমাজের কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সভায় অংশ নেন। সভা শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সংহত করতে আগামী একমাস ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো ছাত্র সংগঠন আলাদা করে কোন কর্মসূচি দেবে না। আন্দোলনের ব্যানারে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। এ সময় ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। শোক দিবসের ব্যাপারে বলা হয়, ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি এসব সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেন। ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালন না করার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বলা হয়, ১৫ আগস্টকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে। এই দিনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা ও অভ্যুত্থান সংহত করতে ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করাটা সমীচীন নয়। নেতৃবৃন্দ জুলাই-আগস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে উল্লেখ করেন। সভায় উপস্থিত ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ইসলামি ছাত্র শিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন (রাগিব নাঈম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল), বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ), আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস), ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর), ছাত্রপক্ষ, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বিপ্লবী ছাত্রসংহতি, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া), খেলাফত ছাত্র মজলিস, ইসলামি ছাত্র মজলিস, গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, জাগপা ছাত্রলীগ, ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু), ভাসানী ছাত্র পরিষদ, জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর), ছাত্র জমিয়ত, ইসলামি ছাত্র সমাজ, ছাত্র মজলিস, জাতীয় ছাত্রসমাজ, ছাত্রমিশন, মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল এবং জুম লিটারেচার সোসাইটি।
১৩ আগস্ট ২০২৪, ১৯:১৩

শোক প্রত্যাখ্যান করে হবিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির ঘটনায় সরকার ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশের ঘটনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। তারা চোখে ও মুখে লাল কাপড় বেঁধে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের হত্যা, গুলি চালিয়ে আহত করার প্রতিবাদ জানান। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় শহরের বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র (বিকেজিসি) সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে বসন্ত কুমারী গোপাল চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ছাড়াও হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, হবিগঞ্জ শচীন্দ্র কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরা অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ‘মোর ছাওয়ালকে মারলু ক্যানে?’, ‘প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয়’, ‘অদ্য ধ্বংসের মুখোমুখী আমরা’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তবে কর্মসূচিতে তাদের কোনো বক্তৃতা পর্ব ছিল না। কর্মসূচিতে অংশ নেন হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ, হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ, শচীন্দ্র ডিগ্রি কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীরাও। তারা প্রায় ৩০ মিনিট অবস্থান নেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তারা কর্মসূচি সমাপ্ত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
৩০ জুলাই ২০২৪, ২২:৩১

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল বেঙ্গলসহ ২০ প্রতিষ্ঠান
জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতে অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লিমিটেডসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ প্রদান করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নীতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে শিল্পখাতে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় নিয়মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’, ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’, ‘সিআইপি (শিল্প) কার্ড’, ‘প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রভৃতি পুরস্কার প্রদান করে আসছে।  তিনি বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে অনুপ্রাণিত করবে। এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নবীন শিল্প উদ্যোক্তারা নিজেদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং বিশ্বমানের শিল্প স্থাপনে উজ্জীবিত হবেন। ফলে দেশে গুণগত মানসম্পন্ন শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে। মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। গত ১৫ বছরে এটি বহাল ছিল বলে শিল্পায়ন বেগবানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিজেই একটি বড় বাজার। অভ্যন্তরীণ বাজারসহ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিতে আমাদের গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে।  মন্ত্রী এ সময় বিশ্বমানের গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদনে শিল্পোদ্যোক্তাদের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বাদ জানান। নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় টাঙ্গাইল শাড়িসহ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ৩১টি পণ্যকে জিআই সনদ প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ১০ বছর মেয়াদি ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিল্প কারখানা স্থাপনসহ শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করতে ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২’ ও ‘এসএমই নীতিমালা-২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় শ্রমঘন শিল্পায়নে মনোনিবেশসহ শিল্পখাতে গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয় নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন, পুরাতন কারখানার আধুনিকায়ন এবং যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের কাজ করছে। শিল্পখাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্প সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি উৎপাদনে ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও রপ্তানিতে অনেকটা পিছিয়ে আছি। প্রক্রিয়াজাতকরণের কম সুযোগ ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি ও ফলমূলের প্রায় ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  তিনি বলেন, বছরে আমাদের কৃষিপণ্য রপ্তানি হয় মাত্র এক বিলিয়ন ডলারের মতো। অথচ এখানে সম্ভাবনা অনেক বেশি, কৃষিপণ্য রপ্তানি করে প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।  তিনি এ সময় দেশের কৃষিখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য শিল্পোদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, ৬ ক্যাটাগরির ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এগুলো হলো- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ছয়টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে চারটি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি ও হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি।   এবার বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে ১ম হয়েছে ইকোটেক্স লিমিটেড, প্রাণ ডেইরি লিমিটেড ও মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড, ২য় হয়েছে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, যৌথভাবে ৩য় হয়েছে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লিমিটেড, ২য় হয়েছে বসুমতি ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড এবং ৩য় হয়েছে এপিএস অ্যাপারেলস লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে ১ম হয়েছে দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্স ও কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, ২য় হয়েছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড এবং ৩য় হয়েছে গুনজে ইউনাইটেড লিমিটেড। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে ফারিহা গ্রিন মুড লেদারস লিমিটেড, ২য় হয়েছে এবিএম ওয়াটার কোম্পানি এবং ৩য় হয়েছে ডিপলেড ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ১ম হয়েছে ব্লু-স্টার অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ২য় হয়েছে প্রীতি বিউটি পার্লার এবং ৩য় হয়েছে লেহাজ সালমা যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থা। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছে বিজ সলিউশনস লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে দ্য রিলায়েবল বিল্ডার্স ও কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পারি লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। তৃতীয় হয়েছে গুনজে ইউনাইটেড লিমিটেড।  মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ফারিহা গ্রিন মুড লেদারস লিমিটেড। দ্বিতীয় হয়েছে এ.বি.এম ওয়াটার কোম্পানি। তৃতীয় হয়েছে ডিপলেড ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে ব্লু-স্টার অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। দ্বিতীয় হয়েছে প্রীতি বিউটি পার্লার। তৃতীয় হয়েছে লেহাজ সালমা যুব মহিলা কল্যাণ সংস্থা। হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে বিজ সল্যুশনস লিমিটেড। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তমবারের মতো পুরস্কারটি দেওয়া হলো। 
২৩ মে ২০২৪, ১৮:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়